তাবলীগ জামাত বিভক্ত হওয়ার ৩ কারণ এবং এটি যেভাবে পুনঃগঠন করা হলো

১৯৯৫ সাল থেকে, তাবলীগ জামাত একটি শুরা (বিশ্ব পরিষদ) দ্বারা পরিচালিত হচ্ছিল, একক নেতা (আমীর) দ্বারা নয়। ২০১৪ সালে, একজন শুরা সদস্য, মাওলানা সাদ শুরা চুক্তি লঙ্ঘন করে নিজেকে এই জামাতের নতুন আমীর (নেতা) হিসাবে ঘোষনা করেন। রমজান ২০১৬ সালের সময়ে, মাওলানা সাদ তাবলীগ জামাতের সদর দপ্তর নিজামুদ্দিন মারকাজে একটি ভয়াবহ রক্তপাতের আয়োজন করেন। যেসব লোক তার সাথে ছিল না তাদের উপর হামলা করা হয়েছিল। অনেককেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল (দেখুন: ২০১৬ নিজামুদ্দিন মারকাজের রক্তপাত)। এই অকল্পনীয় পরিস্থিতি মধ্যস্থতার সকল আশা সমাপ্ত করে যা শেষ পর্যন্ত তাবলীগ জামাতকে বিচ্ছিন্নতার দিকে নিয়ে যায়। অনেক প্রচেষ্টা প্রস্তাব এবং মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করা হয়েছিল, এমনকি মক্কা/মদীনার প্রবীণদের দ্বারাও। অবশেষে, সবচেয়ে সিনিয়র শুরা সদস্য হাজী আবদুল ওয়াহাব সাহেব সকল প্রবীণদের একত্রিত করে এই ব্যাপারে অবস্থান গ্রহণ করেন। এখন অনেক সংকট সমাধান হয়ে গেছে। যদিও মাওলানা সাদের অনুসারীরা এখনও সেখানে আছেন, তবে এখন তারা সর্ব জায়গায় সংখ্যালঘু। সর্বোপরি, দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ সারা বিশ্বজুড়ে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।

একটি গুরুত্বপূর্ণ নোট!

তাবলীগ জামাতের বিচ্ছিন্নতা (অথবা ইখতিলাফ) এর মধ্যে প্রবেশ করার আগে, বুঝতে হবে যে, ইসলামে বিরোধ সবসময় বিদ্যমান। আমরা চিন্তাধারায়, ইসলামিক আন্দোলনে, এমনকি ঈদের দিনেও পার্থক্য করে থাকি! তবুও, আমরা সকলেই মুসলিম ভাই হিসেবে একতাবদ্ধ এবং একে অপরকে সম্মান করা আবশ্যক. দেখুন: ইখতিলাফের আদব

তাবলীগ জামাতের বিচ্ছিন্নতার তিন(৩) কারণ

 অন্যান্য সংগঠনের বিরোধ, বিভক্তিতে উভয় পক্ষের বৈধ যুক্তি রয়েছে বলে বিভ্রান্তিকর হতে পারে। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ, তাবলীগ জামাতের বিরোধ একদম বিভ্রান্তিকর নয়। ভুল পক্ষটি স্পষ্ট, যেহেতু এটি একজন একক ব্যক্তি বনাম সকল প্রবীণ/শুরা সদস্য। তবে একমাত্র সমস্যা ছিল এটি কীভাবে মোকাবেলা করতে হয়। মার্চ ২০১৮ সালে, সারা বিশ্বের তাবলীগের প্রায় সকল প্রবীণরা মাওলানা সাদ এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। তারা তিনটি কারণে তার দোষ ছিল বলে উল্লেখ করেন।
Maulana Saad - The cause of the Tablighi Jamaat 2014 Crisis
মাওলানা সাদ – তাবলীগ জামাতের বিরোধের কারণ

#১ – মাওলানা সাদ তাবলীগ জামাতের মানহাজ (পদ্ধতি) অনুমোদন ছাড়া পরিবর্তন করার চেষ্টা করেন।

তাবলীগ জামাতের একটি প্রধান মতবাদ হলো সর্বদা উলামাদের ইজমা (একমত) এর সাথে নিজেকে আবদ্ধ রাখাএবং কিংবদন্তি মুফাসসিরীন, মুহাদ্দিসীন এবং ফুকাহাদেরকে কঠোরভাবে মেনে চলা। বিশেষ করে কোরআন, হাদীস এবং সীরাহ (নবী সাঃ এবং সাহাবাদের ঘটনাবলী) এর রায় এবং ব্যাখ্যা করার সময় তাদের মেনে চলা।

সূত্র: মাওলানা ইবরাহিম দেওলার পত্র

মাওলানা সাদের দ্বারা করা সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হলো আন্দোলনটিকে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ থেকে বিচ্যুতি ঘটানো তার বিচ্চিছিন্ন ন্তাধারা এবং নতুন উপলব্ধির মাধ্যমে। মাওলানা সাদের উপর অনেক ফতোয়া জারি করা হয়েছে, যার মধ্যে দারুল উলুম দেওবন্দেরটাও অন্তর্ভুক্ত।

এটি তাবলীগ জামাতের মূল মানহাজ (শিক্ষা) থেকে এসেছে যে, এটি কখনোই ইসলাম থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো স্বায়ত্তশাসিত সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। উলামাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে এটি হ্রাস পাবে।

মাওলানা সাদ তাবলীগ জামাতের অন্যান্য অনেক পরিবর্তন করেছেন অনুমোদন ছাড়াই। তার প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ছিল মুন্তাখাব হাদীস কিতাবকে এই জামাতের একটি অফিসিয়াল বই করে উপস্থাপন করা। এই পরিবর্তনের কখনো অনুমোদন পাওয়া যায়নি। তার অনুমোদনহীন পরিবর্তনগুলির অনেকগুলি বিশ্বব্যাপী সংগঠনে বিভ্রান্তি ও বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে।

#২ – মাওলানা সাদ ১৯৯৫ এর চুক্তি ভঙ্গ করেছেন। নিজেকে আমীর ঘোষণা করে তাবলীগ জামাতে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করেছেন।

১৯৯৫ সালে সব শুরা (মাওলানা সাদসহ) একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে যা বলেছিল: কর্মকে পৃষ্ঠপোষকতা করার দায়িত্ব একক ব্যক্তির উপর থাকবে না, বরং একটি (বিশ্ব) শুরার উপর থাকবে। ২০১৪ সালে, মাওলানা সাদ এই চুক্তি ভঙ্গ করে নিজেকে নতুন আমীর হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি শুরাকে অস্বীকার করেন, যা ১৯৯৫ সাল থেকে তাবলীগের মূল কর্তৃপক্ষ ছিল। তিনি বাই’আত (আনুগত্যের শপথ) গ্রহণ শুরু করেন। এ সবকিছু অনুমোদন (মাশওয়ারা) ছাড়াই করা হয়েছিল।
Maulana Saad Treacherously Violated the 1995 Agreement Causing Tablighi Jamaat Split
নিঃসন্দেহে, এটি একটি চুক্তি ভঙ্গ করা অপরাধ, সারা বিশ্বে প্রায় ১০০ মিলিয়ন অনুসারীর সাথে সবচেয়ে বড় ইসলামিক আন্দোলনকে বিভক্ত করা তো বলাই বাহুল্য। আল্লাহ তাআলা কোরআনে উল্লেখ করেছেন: হে ঈমানদারগণ! তোমরা চুক্তিগুলি রক্ষা করো।  (আল কোরআন ৫:১) নবী(ﷺ) বলেছেন, “কপটের(মুনাফিক)লক্ষণ তিনটি: যখন সে কথা বলে তখন মিথ্যা বলে। যখন তার কাছে আমানত রাখা হয় তখন সেটার খেয়ানত করে। আর যখন সে প্রতিশ্রুতি দেয় তখন তা ভঙ্গ করে।” (সহীহ আল-বুখারী ২৭৪৯).
blank
বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন মাওলানা সাদের বিশ্বাসঘাতকতা 1995 চুক্তির লঙ্ঘন

#৩ – াওলানা সাদের মতাদর্শে অনেক ফতোয়া জারি হয়েছে।

প্রথম পয়েন্টে উল্লেখ করা হয়েছে, তাবলীগ জামাত সবসময় উলামায়ে কেরামদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সিদ্ধান্ত (ইজমা) দ্বারা আবৃত হয়েছে, যা সুপরিচিত ইসলামিক প্রতিষ্ঠান দ্বারা রক্ষা করা হয়েছে। দুঃখজনকভাবে অনেক প্রতিষ্ঠান এবং দারুল উলুম মাওলানা সাদের মতাদর্শকে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ থেকে বিচ্যুত বলে বিবেচনা করেছে। ২০০১ সাল থেকে অভিযোগগুলি রেকর্ড করা হয়েছে। বয়োজ্যেষ্ঠরা এটি অভ্যন্তরীণভাবে সমাধানের চেষ্টা করেছেন কিন্তু মাওলানা সাদের বিচ্ছিন্ন মতাদর্শ প্রতি বছর বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৬ সালের ২৮ নভেম্বর, দারুল উলুম দেওবন্দ মাওলানা সাদের উপর প্রথম ফতোয়া জারি করে। মাওলানা সাদ একটি রুজু (ফিরে আসা) খেলার সূত্রপাত করেন, যা তার অনুসারীরা প্রচার করতে শুরু করে। ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি, দারুল উলুম দেওবন্দ তার রুজুকে প্রত্যাখ্যান করে, ঘোষণা করে:
মাওলানা সাদের মতাদর্শগত বিচ্যুতি একদমই উপেক্ষা করা যায় না। এত কথার পরেও সে অবিরতভাবে বহু বিভ্রান্ত মন্তব্য করে যাচ্ছেন”
সর্বশেষে, দারুল উলুম দেওবন্দ ২০২৩ সালে আরো একটি ফতোয়া জারি করেছে। তারা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করে যে, মাওলানা সাদকে অনুসরণ করা উচিত নয় এবং যারা তাকে অনুসরণ করে তারা আল্লাহ তাআলার কাছে জবাবদিহি করবেন। অন্যান্য অনেক প্রতিষ্ঠান এবং দারুল উলুমও মাওলানা সাদের উপর ফতোয়া জারি করেছে। আমরা এখানে ৪০+ পর্যন্ত ফতোয়া সংগ্রহ করেছি
blank

কেন বয়োজ্যেষ্ঠরা আপস করতে পারছেন না এবং বিরোধগুলো সমাধান করার চেষ্টা করছেন না?

অবশ্য তারা চেষ্টা করেছিলেন, দুই বছরের (২০১৪-২০১৬) মধ্যে পারস্পরিক আলোচনা, চিঠিপত্র এবং সম্মানিত মধ্যস্থতাকারীদের নিয়ে আসার মাধ্যমে বিরোধগুলির সমাধান করার অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল। মাওলানা সাদ যখন অপ্রত্যাশিত কাজটি করেন তখন সমস্ত আশা হারিয়ে যায়:
মাওলানা সাদ রমজান মাসে মার্কাজ (ভারত হেডকোয়ার্টার) এর উপর একটি সহিংস নির্মূল অভিযান শুরু করেন। ৭টি প্রমাণ যে, মাওলানা সাদ ছিলেন পরিকল্পনাকারী
অনেককে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে নিষ্ঠুরভাবে পিটানো হয়। এটি শেষ পর্যন্ত বিরোধগুলির সমাধানের সমস্ত আশা বন্ধ করে দেয়। দেখুন ২০১৬ সালের নিযামুদ্দিন মার্কাজের রক্তপাত (৭টি প্রমাণের সঙ্গে মাওলানা সাদ ছিলেন পরিকল্পনাকারী).
blank
২০১৬ সালের নিযামুদ্দিন রক্তপাত – উলামা/হাফেজদেরও রক্ষা করা হয়নি
blank
২০১৬ সালের নিযামুদ্দিন রক্তপাত – বয়োজ্যেষ্ঠদের উপর হামলা

তাবলীগের সাধারণ সদস্যরা এই উপরের পর্যায়ের সমস্যা উপেক্ষা করতে পারে না?

এই প্রশ্নটি সাধারণভাবে করা হয়। দুঃখজনকভাবে উত্তর হল না, এটি এখন আর শুধু উপরের পর্যায়ের সমস্যা নয়। কারণ মাওলানা সাদ বর্তমান শুরাকে উৎখাত করতে চাইলে নিজের পক্ষে সমর্থনের উদ্দেশ্যে সাধারণ সদস্যদের সমাবেশ করতে হয়েছিল তাকে।
    • তিনি বিশ্বজুড়ে ভুল তথ্য ছড়িয়ে দিতে অনেক প্রতিনিধি পাঠান।
    • তিনি বিশ্বব্যাপী তার বিশ্বস্ত লোকদেরকে স্থানীয় প্রধান হিসেবে উন্নীত করেন, যার কারণে তারা একটি আলাদা গোষ্ঠীতে পরিণত হয়।
এভাবে বিরোধগুলি সাধারণ সদস্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।

হাজী আব্দুল ওয়াহাব এবং বয়োজ্যেষ্ঠরা অবশেষে তাদের পদক্ষেপ নেন

নভেম্বর ২০১৬ সালে, ৯৩ বছর বয়সী হাজী আব্দুল ওয়াহাব এবং বয়োজ্যেষ্ঠরা অবশেষে অসতর্ক মাওলানা সাদের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেন।
    • তারা সকল বয়োজ্যেষ্ঠদের একত্রিত করেন। সকল বয়োজ্যেষ্ঠ শুরা সহ।
    • তারা শুরাকে নতুন সদস্যদের দিয়ে ক্ষমতায়ন করেন। এটি মাওলানা সাদের কর্তৃত্বকে কমিয়ে দেয়, যিনি ইতোমধ্যে শুরার সদস্য ছিলেন।
    • হাজী আব্দুল ওয়াহাব মানুষকে নিযামুদ্দিন মার্কাজ (মাওঃ সাদের হেডকোয়ার্টার) পরিত্যাগের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, এটি এখন দায়িত্বজ্ঞানহীন কিছু মানুষের দখলে রয়েছে।
    • হাজী আব্দুল ওয়াহাব প্রকাশ করেন যে, মাওলানা সাদ নিজেই তাবলীগে সময় ব্যয় করেননি এবং তার কাছে একটি চূড়ান্ত নোটিশ প্রদান করেন।
Haji Abdul Wahab
হাজী আব্দুল ওয়াহাব।

তাবলীগ জামাতের বিভক্তির পর থেকে মাওলানা সাদের ক্রমাগত পতন

মাওলানা সাদের ক্রমাগত পতন চলেছে।
    • ২০২০ মার্চ, একটি মানি লন্ডারিং মামলা মাওলানা সাদের বিরুদ্ধে হয়েছিল কারণ কর্তৃপক্ষ তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে একটি বড় পরিমাণ অর্থ পেয়েছিল।
    • ২০২২, ভারতের আদালত নিজামুদ্দীন মার্কাজে কঠোর শর্তাবলী প্রয়োগ করেছে: কোনো তাবলীগি কার্যক্রম নেই, বক্তৃতা নেই, বিদেশী নেই, এবং সব প্রবেশপথ, সিঁড়ি এবং প্রতি তলায় সিসিটিভি স্থাপন করতে হবে [সূত্র]. ২০২২ সালের শেষে এই কঠোর শর্তাবলীর অধীনে নিজামুদ্দীন পুনরায় খোলা হয়েছিল।
    • ২০১৮ – ২০২৪ – মাওলানা সাদকে টানা ৭ বার টঙ্গী ইজতেমায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যা হজ্বের বাহিরে সবচেয়ে বড় মুসলিম সমাবেশ।
    • ২০২৩ – একটি শক্তিশালী এবং বিস্তারিত ফাতওয়া দারুল উলুম দেওবন্দ দ্বারা প্রকাশিত হয়েছে। তারা মানুষের কাছে মাওলানা সাদের বিচ্ছিন্ন মত প্রচার করা থেকে নিষেধ করেছে এবং স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে যে, তার অনুসারীদের আল্লাহ তাআলার কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
নজরুদ্দিন মার্কাজ প্রায় ৪ বছর বন্ধ - তাবলীগ জামাত বিভাজন
নিজামুদ্দিন মার্কাজ প্রায় ৪ বছর বন্ধ
মাওলানা সাদের গোপন বাড়ি মিডিয়া দ্বারা প্রকাশিত
মাওলানা সাদ এর গোপন ফার্মহাউস, যা মিডিয়া দ্বারা প্রকাশিত

কেন কিছু লোক এখনও মাওলানা সাদকে অনুসরণ করছে?

দুইটি কারণ:
    • তাদের ধারণা নেই মাওলানা সাদের ভুলগুলি সম্পর্কে। তারা তাদের স্থানীয়/জনগণভিত্তিক সংযুক্তিগুলি অনুসরণ করে। এই লোকেরা সাধারণত আন্তরিক এবং প্রকৃতভাবে নিরপেক্ষ।
মাওলানা সাদের বেশিরভাগ অনুসারীর কাছে কোনো নির্ভরযোগ্য ধারণা নেই

আমরা শুধুমাত্র সত্যের উপর ঐক্যবদ্ধ হতে পারি

এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, মাওলানা সাদ ২০১৪ সালে তাবলীগ জামাতের বিভাজন সংকটের মূল কারণ ছিল। বেশিরভাগ প্রবীণ এবং পণ্ডিত (উলামা) তার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। যে কারণে সংকট মিটেছে এবং তাবলীগ জামাত সত্যের উপর ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। মাওলানা সাদের সংখ্যালঘু অনুসারীরা এখনও রয়েছে। আমরা মূলত তাদের বিরুদ্ধে নই তবে তাদের নেতার বিচ্যুতির বিরুদ্ধে। ইনশাআল্লাহ, তাদের অধিকাংশই আন্তরিক এবং আমরা তাদের জন্য সত্য দেখতে প্রার্থনা করি। সবকিছুর উপরে, আমরা মুসলিম ভাই হিসেবে ঐক্যবদ্ধ। দাওয়াহ করার বিষয়ে, আমরা শুধুমাত্র সত্যের উপর ঐক্যবদ্ধ হতে পারি, আমরা মিথ্যা এর প্রতি মানুষকে ডাকতে পারি না।

” যখন আপনি একটি সাধারণ ভুলকারীকে চিনবেন, তখন এটি অন্যদের কাছে উল্লেখ করবেন না। তার ভালো দিক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন এবং উল্লেখ করুন। কিন্তু দ্বীনের ক্ষেত্রে যদি আপনি একজন ভুলকারীকে চিনেন (যেমন, বিকৃত বিশ্বাস ইত্যাদি), তবে এটি অন্যদের উল্লেখ করুন। যেন তারা সতর্ক থাকে এবং তাকে অনুসরণ না করে।”

ইমাম আবু হানিফা রহঃ “
আল্লাহ তাআলা সর্বদা সঠিক জানেন।

পড়ুন: তাবলীগের পূর্ণ ইতিহাস (১৯২৬ থেকে ২০২৩)

Leave a comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Facebook Facebook